AORUS Force K83 Review
কেমন আছেন সবাই? পবিত্র মাহে রমযানে আবারো কিছুদিন পর আমরা আপনাদের সামনে হাজির হলাম এক নতুন রিভিউ নিয়ে। আর আজকের টপিক হল একটি বাজেট ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ড। বর্তমানে বাজেট ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ড একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে।
এইগুলার কয়েকটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যেমন khali blue/ omron blue switch use করবে, উপরের অংশটা মেটালের থাকবে যা আপনার বাসায় আর্থিং প্রবলেম থাকলে মাঝে মাঝে আপনাকে বিনে পয়সায় থেরাপি দিয়ে দিবে আর একটু রংগীন বাত্তি থাকবে যার মধ্য সাপ লুডু টাইপের একটা কমন ইফেক্ট থাকবেই। তবে আজকে আমরা যেই বাজেট ম্যাকানিক্যাল নিয়ে ঘাটাঘাটি করব এটি আবার একটু আনকমন টাইপের , কিবোর্ডটা দেখলে মনে হয় বর্তমান স্টাইলের সাথে সে খাপ খাইয়ে চলে না । তাহলে চলুন আর লিখা না বাড়িয়ে Aorus Force k83 এর রিভিউ শুরু করা যাক। আরেকটি কথা এর দাম মাত্র 4,800 টাকা।
Unboxing
বক্সটা খুলেই কিছুটা টাস্কি খাইলাম। কেননা বক্সের ভিতরে শুধু কিবোর্ড ছাড়া আমরা আর কিছুই পায়নি ও না, না একটা পলিথিন অবশ্য উপরে প্যাচানো ছিল এই আরকি। যদিও বাজেট ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ড তাও একটা কি ক্যাপ পুলার পাইলে অনেক খুশি হইতাম :(
Key
key গুলোয় আদি কালের ফরমেটের Alphabet ব্যবহার করা হয়েছে। তবে তাই বলে কিবোর্ডে উদ্ভট কোন রং কিংবা পংগুদের মত ত্যাড়াব্যাকা কোন ডিজাইন দেয়া হয় নায়। এতে কিবোর্ডটি দেখতে একটি ক্লাসিক ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ডের মতই লাগে। আর এই কিবোর্ডে আপনি কোন led ও পাচ্ছেন না। তাহলে কি আছে এই কিবোর্ডে যা একে বাকিগুলা থেকে আলাদা করে তুলে? উত্তরটা লুকিয়ে আছে এর আসল জিনিশ কি এ। এই কিবোর্ডে ব্যবহার করা হয়েছে আসল cherry mx red switch । জ্বী হ্যা এতে আসলেই real cherry mx switch ব্যবহার করা হয়েছে আপনি নিচে ছবিতেও তা দেখতে পারবেন। আর কিক্যাপ গুলো dual shock না তাই এগুলোর ভার একটু কম যার জন্য এর কি গুলো সাউন্ড কিছুটা কম করে সেই সাথে dual shock এর তুলনার এর durability কিছুটা কম। পারতপক্ষে যারা কি গুতায় ব্যবহার করে তারা ছাড়া কারো কিক্যাপ নস্ট হতে দেখিনি।
Build Quality
বোর্ডটি বিল্ডদের দিক থেকেও চাইনিজ কিবোর্ড গুলো থেকে কিছুটা আলাদা। এর ক্যাবলটি ব্রেইডেড না তবে যথেষ্ট মোটা আর এটি রিমুভ ও করা যায়না । কিবোর্ডটির বিল্ডে পিছনের দিকে রয়েছে প্লাস্টিকের ফ্রেম আর মাঝে রয়েছে মেটালিক বেস। আর উপরে দেয়া হয়েছে টেফলন যার ফলে বাসায় আর্থিং এর সমস্যা থাকলেও আপনার কিবোর্ডটিতে শক করবে না। আর এর ওজন 1.1kg হওয়ায় এটি ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ড এর তুলনায় খুব একটা ভারী না তবে সাধারণ কিবোর্ড থেকে তুলনামুলক ভারী। আর কিবোর্ডটিকে টেবিলে স্লীপ কাটানো থেকে বাচানোর জন্য আছে ৪ টি রাবার ফিট। কিবোর্ডটি হাতে নিয়ে ভালমত নাড়াচড়া করেও আমরা খুব একটা flex দেখতে পাইনি। তাই বিল্ড কোয়ালিটিতে বোর্ডটি মোটামুটি ভাল মার্কেই পাশ করেছে :)
Typing
এবার আশা যাক এর টাইপিং আর গেমিং experience নিয়ে। প্রথমেই টাইপিং এর কথা বলতে চাই। আমরা যেই মডেলটি ব্যবহার করেছি তা red switch হওয়ায় এতে blue এর মত সেই ট্যাকটাইল ফিডব্যাক নেই। যা আমার মত টাইপিং নির্ভরদের জন্য আদর্শ না অবশ্য এর একটি blue switch এর ভার্শ্ন রয়েছে কিন্তু তা আমাদের দেশে আনা হয়নি। তবে টাইপিং এর সময় খটখট শব্দ ছিল না। এমনকি অনেক ভারী key এর কিবোর্ড থেকেও এটি বেশ কম শব্দই করে যার জন্য এর single shock abs plastic এর key cap কে ধন্যবাদ।
যেহেতু ইহা একটা গেমিং কিবোর্ড তাই এর গেমিং টেস্ট না করলে হয় নাকি। তবে গেমিং এর জন্য শুধু warface খেলে টেস্ট করা হয়েছে আর as usual red switch থেকে আমরা যেইরকম পারফর্মেন্স আশা করি এতে ঠিক তাই পেয়েছি। red switch এর space bar চাপার মধ্যে একটা অসাধারণ ফিল আছে :) আর ট্রাভেল ডিস্টেন্স ও actuation force standard level মেইন্টেন করায় এতে adjust করার কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না।
Final Words
বর্তমানে RGB নামের একটা বিশেষ ফিচার্স দিয়ে গেমারদের হিপনোটাইজ করা হচ্ছে সত্যি বলতে আমার নিজেরও RGB এর উপরে দুর্বলতা আছে :p তবে তাই বলে শুধু RGB থাকলেই কোন প্রোডাক্ট ভাল হতে পারে না। দেশে যেসব RGB budget mechanical কিনতে পাওয়া যায় তাদের বেশিভাগই পারফর্মেন্সের দিক থেকে আমার মন জয় করে নিতে পারেনি। আর বাজেট ম্যাকানিক্যালের সবই blue switch দেয়া থাকে যেখানে বেশিভাগ বাংগালি আসলে red switch পছন্দ করে। তাই সবদিক বিবেচনায় যদি আপনি গেমার হয়ে থাকেন আর টাইপিং খুব একটা করা না লাগে তাহলে এই বাজেটে AORUS FORCE K83 ই আপনার জন্য সেরা কিবোর্ড বলা চলে কেননা এতে extra তেমন কোন ফিচার্স না থাকলেও এতে যে আসল cherry mx red switch ব্যবহার করা হয়েছে তার কোয়ালিটি বাজেট ম্যাকানিক্যাল গুলোর তুলনায় বিশ্বাসযোগ্য।
তাহলে আজ এ পর্যন্তই। ম্যাকানিক্যাল কিবোর্ড নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে অবশ্যই তা আমাদের জানান।
No comments