Review of Logitech G430
Online gaming এ একটা বিশাল অস্ত্র আছে যার সাহায্যে চাইলে আপনি অনেক opponent কেই খুব সহজে মারতে পারবেন। হ্যা তা আর অন্য কিছু না এই বিশাল হাতিয়ারটি হল একটি ভাল কোয়ালিটির গেমিং হেডফোন। গেমিং হেডফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর অনেক বড় সাউন্ড স্টেজ আর সেই সাথে তার controled high । পুরা 7.5k price ট্যাগ এর হেডফোনটিকে একটা ব্রলোক্স এর হেডফোন বলতেও দ্বিধা নেই। কিন্তু আসলেই এত টাকা দিয়ে হেডফোন কিনে কি বা হবে তা জানতে পড়ে ফেলুন রিভিউটি :)
Unboxing:
এর প্যাকেটটি দেখে আমার বাচ্চাদের খেলনা গাড়ির কথা মনে পড়ে গেল :p । অর্ধেক ট্রান্সপারেন্ট প্যাকেটটিতে আপনি হেডফোন, DAC আর ইউজার ম্যানুয়ার ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। যারা প্যাকেট দেখিয়ে ফেইসবুকে দুখান পিক দিয়ে একটু ভাব নিতে অভ্যস্ত তারা বাদে বাকিদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা হওয়ার কথা না :p। এক্ষেত্রে একজন মনিষির উক্তি উল্লেখ না করলেই নয় আর তা হল " প্যাকেট, আউটলুক কিংবা RGB নয় পারফর্মেন্সই ডিভাইসের আসল কোয়ালিটি তুলে ধরে"। কথাটা অবশ্যই মুখস্ত করে রাখবেন কাজে দিবে :)
হেডফোনটি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন এটি একটি গেমিং হেডফোন। এতে Black and Blue color theme দেয়া আছে অবশ্য হেডফোনের কালার থিম নিয়ে তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না কেননা অধিকাংশ সময়ই এটি এমন জায়গায় থাকবে যেখান থেকে তা আপনার চোখে পড়বে না , তাই না ? :p আর চাইলেই হেডফোনটিকে আপনি ৯০ডিগ্রি ফোল্ড করতে পারবেন যার ফলে আপনি হেডফোন খুব সহজেই গলায় ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। হেডফোনটি ৮-১০ টা হেডফোনের মত গোল না বরং এতে অনেকটা গাছের কোষপ্রাচীরের মত ডিজাইন দেয়া আছে যা একে এক ইউনিক লুক দিয়েছে আর তাই এর কুশনগুলোও অন্যরকম।
Build Quality:
হেডফোনটির বিল্ড কোয়ালিটিটার ব্যাপারে বলা লাগে যে তা আজকালকার মানুষের রিলেশনের মতই কম্পিকেটেড। ক্যাবলটি braided এবং যথেষ্ট ভাল কোয়ালিটির সেই সাথে হেডব্যান্ডটিও মজবুত আছে। তবে aircuff আর head band এর সংযোগ স্থলটি একটু সাবধানে ব্যবহার করাই ভাল কেননা বেশি রাফ ইউজ করলে এটি ভেংগে গেলেও যেতে পারে। এটি এতটা পাতলা না যে এক দুইটা মোচড়েই ভেংগে যেতে পারে তবে কিছুদিন অবহেলায় ফেলে রাখলে তা ভাংগার সম্ভাবনা আছে। অবশ্য এর কুশনগুলো প্রায় নস্ট হবেনা বললেই চলে আর সেই সাথে ময়লা হলে আপনি তা ধুয়ে আবারো আগের মত ঝা চকচকে বানাতে পারবেন।
গেমিং হেডফোনে কমফোর্ট লেভেলটা অনেকটাই বড় ভুমিকা পালন করে। অবশ্য এই সেক্টরে হেডফোনটি আপনাকে হতাশ করতে পারে কেননা এর ওজন মোটামুটি কমই তবে এতে সা
ধারণ leather কিংবা কাপড়ের কুশনের পরিবর্তে নেটের কুশন ব্যবহার করা হয়েছে যা কানে দিলে কিছুটা গুতাগুতা লাগে। কম সময়ে কিছুটা adjust করে নিলেও লং টাইম ব্যবহারে তা uncomfortable feel হবেই। তবে এর নেট কুশনের কোয়ালিটি খুব ভাল তা সহজে নস্ট হয় না আর নোংড়া হলেও ধুতে পারবেন :) এখন এই comfort level ঠিক করার জন্য দুটি উপায় আছে। এক হল চাইলে leather এর কুশন কিনে আনতে পারেন যা কিনা 7-10$ এ পেয়ে যাবেন অথবা কয়েকবার কুশনটি ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিতে পারেন।
এবার পালা হেডফোনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা নেয়ার যেহেতু গেমিং হেডফোন তাই প্রথমে আমরা গেমিং এ এর সাউন্ড কোয়ালিটি নিয়েই আলোচনা করব আর পরে মিউজিকের অংশটিও থাকবে। গেমিং এর জন্য হেডফোনটি আপনাকে দিচ্ছে 7:1 surround sound experience যা শুধু নামেই জোশ না কাজেও তার ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। 8-10k range এর গেমিং হেডফোনগুলোর মতই এর surround sound experience ছিল কান মাতানোর মতই। এই হোডফোন পড়ে সহজেই আপনি নিখুতভাবে enemy position বুঝতে পারবেন। খালি উপরের দিকে গেলে একটু কনফিউজ হওয়া লাগে যা আমি এরকম আরো হেডফোনেও পেয়েছি। আর এর গেমিং মোড অন করতে আপনাকে সাথে দেয়া usb dac আর logitech gaming software ব্যবহার করতে হবে। এর সাথে এতে অনেক প্রোফাইল সেট করার অপশনও রয়েছে যা প্রো ইজজারদের খুব উপকারে দিবে। গেমিং এ শুট করার সময় কানে যাতে তালা না লাগে সেজন্য হেডফোনের গেমিং মোডে base অনেকটাই কম থাকে।
এতক্ষন ত অনেকটাই গেমিং এর কথা বললাম কিন্তু গান শুনার জন্য হেডফোনটা কেমন? সত্যি বলতে আমার টেস্ট করা অধিকাংশ গেমিং হেডফোনে গেমিং experience যতটা ভাল গান শুনার ক্ষেত্রে সেগুলো আর বাজিমাত করতে পারে না। তবে এইক্ষেত্রে হেডফোনটি আমাকে একেবারে আশ্চর্য করে দিয়েছে। গেমিং মোড অফ করলেই আপনি একে একটি ultimate music headphone এ পরিণত করতে পারবেন। আর ডিফল্ট অবস্থায় বেস আর টেবল কিছুটা কম থাকলেও equalizer দিয়ে মনমত বেস আর টেবল সেট করতে পারবেন। ভাল audio source এ হেডফোনটি লাগিয়ে আমি এর বেস আর ট্রেবলের পারফর্মেন্স দেখে আসলে একেবারেই অবাক হয়ে গেছিলাম কেননা আমার প্রত্যাশা থেকেই হেডফোনটি বেশি ভাল পারফর্মেন্স দিয়েছে।
হেডফোনের সাথে যেই মাইক্রোফোন পাচ্ছেন তাতে অপর প্রান্তে স্পষ্টভাবেই আপনার কথা শুনতে পাবে তবে হালকা একটা রোবটিক ইফেক্ট থাকবে যা আসলে রেকর্ড এর কাজ না করলে তেমন কোন প্যারা দিবে না। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড নয়জে থেকে এই মাইক আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। এর আরেকটি ফিচার্স হল মাইক ব্যবহারের সময় আপনি নিজেও কি বলছেন তা শুনতে পাবেন। মাইকটি হেডফোন থেকে কিছুটা আলাদা করা যেখানে আজকাল অনেক হেডফোনেই মাইকটি আপনি ভিতরের দিকে পাবেন। আর মাইক অন করার জন্যও আপনাকে সুইচ ব্যবহার করা লাগবে।
উপরে অনেক প্যাকপ্যাকই করলাম কিন্তু সবকিছু শুনে অনেকের মনেই কনফিশন আশা স্বাভাবিক তাই এবার আপনার জন্য আসলেই এই হেডফোনটি পারফেক্ট কিনা সেটি স্পশট করে বুঝিয়ে বলব। যদি আপনি আগে অনেক কম্ফোর্টেবল কোন হেডফোন চালিয়ে অভ্যস্ত হন ( যেগুলো অনেক পাতলা আবার কুশনগুলোও আরামদায়ক ) তাহলে হেডফোনটি কানে নিয়ে আপনার ভাল লাগার সম্ভাবনা কম। কিন্তু প্রিমিয়াম comfort quality এর হেডফোন ব্যবহার না করে থাকলে এটি আপনার কাছে খারাপ লাগবে না। আর এর সাথে আমরা 11k+ বাজেটের দেশের অন্যতম জনপ্রীয় একটি গেমিং হেডফোন কম্পেয়ার করেছিলাম যা এর তুলনায় অনেক বেশি কম্ফোর্টেবল কিন্ত বিল্ড কোয়ালিটি একেবারে ঠুনকো আর মিউজিক শোনার ক্ষেত্রেও g430 এর মত পার্ফেক্ট না। বলা বাহুল্য আমার সামনে এখন দুটি হেডফোনই পড়ে থাকলেও আমি g430 টাই কানে দিয়ে টাইপিং করছি আর সেই বিখ্যাত হেডফোনটি বরাবরের মত আমার পাশে পড়ে আছে। হেডফোনটির পরীক্ষার রেজাল্টগুলো ছবিতে দিয়ে দেয়া হল তাই দেখে নিতে ভুলবেন না।
আজ তাহলে আর কথা বাড়াচ্ছি না শুধু এটুকুই বলি এরকম detailed quality review পেতে অবশ্যই আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন :) আর ছোটখাটো ভুলগুলো একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
#TechAccumulator
#HappyGaming
No comments